এস এম খোরশেদ আলম এর গুচ্ছ কবিতা
















পাখিদের কাছে শিক্ষনীয় আছে 

 


ভোরের পাখি সুরেলা কন্ঠে 

বিদায় জানায় নিশি রাত্রিকে 

সু স্বাগত জানায় নতুন সুর্যকে সুপ্রভাত বলে 

পাখিসব করে রব - রাত্রি পোহাইলে 

কল কাককোলিতে  

শুকরিয়া জানায় সৃষ্টি কর্তা কে 


যায় ঘুম ভেঙে - পাখি সব চলে যায় খুব সকালে 

নিজ নিজ আহরণে সারাদিন কাটায় ঘুরে 

দিন শেষে সা্জবেলায় - বনে বনে খাদ্যের সন্ধানে 

আবার তারা ফিরে আসে - সন্ধার আগে  গোধূলি লগ্নে 


নিজ গৃহে ফসল  বুনেও না ফসল কাঁটেও না 

তবুও সৃষ্টি কর্তা খাওয়ান তাদেরকে 

সারা রাত্রি চুপ চাপ চিন্তা নাহি করে 


অথচ  মানুষ  সৃষ্টির সেরাজীব

কি খাইবো কি পড়িবো কেন ভাবনা মনে 

কেন  হানাহানি  কেন  হিংসা  বিদ্বেষ 

কেন খুন জখম করে। 

সমস্ত চিন্তার ভার ছেড়ে দাও সৃষ্টি কর্তা র উপর 

দিনের চিন্তা দিনে কর 

আগামী কাল বাঁচিবে কিনা তুমি কি বলিতে পার ।

  


শান্তি  


বাঁধ ভাঙা উল্লাস আর উচ্ছ্বাস হোক মানুষের জীবন 

ব্যাথা ভরা শুধু নহে এ প্রাণ - ভরে যাক আনন্দ মন


দিকে দিকে দেশে দেশে বিশ্ব জুড়ে  শোনাও শান্তির অভয় বাণী 

এ-ই সুন্দর পৃথিবীতে মুছে যাক যত মনের কালিমাখানি  

খারাপি যাহা কিছু আছে  শুদ্ধতায় ছুঁয়ে যাক সুন্দর প্রেমে  

শান্তির হৃদয়খানিতে  বীজ  বুনো জগৎ মাঝে । 


মনের অন্তরালে


তুমি ভুলে গেলেও আমি ভুলি নাই তোমাকে

তোমার নামটি লিখা আছে বুকে

ভারাক্রান্ত হৃদয়ে চাই তোমাকে

জীবন বাজি রেখে লড়ে যাব সংসারে । 


কল্পনাতে ময়ূর এসে  নাচতো গভীর ভালবেসে 

মেলতো পেখম রঙ্গিন ডানায় – বারন মানতো না সে 


সেই সব স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচি সোহাগ প্রীতি মাখায় 

প্রভাত সুর্য  হাসে জীবন খাতায় সোনালি পাতায় 

সেই দিন ছিল ফাল্গুন - যৌবন ভরা আগুন

আজ তারা হয়ে গেছে হারা - বিগত স্মরণ


কার ভুলে


মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে দেশে দেশে

বিশ্ব জুড়ে অশান্তির লড়াই - স্কাট ক্ষেপণাস্ত্র মিসাইলে


এটম বোমা  - পরমাণুর দাপট 

পৃথিবীর চারিদিকে শুধু মৃত্যুর ঘ্রাণ

ভয়াবহ  তান্ডবে  তছনছ আধুনিক বিশ্ব

ধ্বংসের কঠিন লীলায় নির্যাতিত মানুষের প্রান । 


বিশ্বজুড়ে আগুনের লেলিহান শিখা - বিভিষিকা

এাহি এাহি করে শিউরে উঠে - ভয়ে অন্তর আত্না 

চারিদিকে ভুলন্টিত মানবিক  প্রেম -  নেই মানবতা

কুলষিত অসাড় শিক্ষা শান্তি প্রগতি – মানব ব্যবস্থা 


অজাগ্রত বুদ্ধিমত্তা  আর বাক স্বাধীনতা 

চেয়ে দেখ জাতি দেখ বিশ্ব বাসি- দেখো  বিধাতা 

যে ধর্মের কারনে আমরা যুদ্ধ করি - মানুষ মারি

ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে ধর্ম হতে বিছিন্ন হয়ে পড়ি


এই ভুল কার - শিক্ষা ধর্ম যাজক  বিবেক এর 

এমন বেহাল অবস্থা - কারভুলে বিশ্ব মল্লুকের ?

  

 

 

লিখবোনা কবিতা


রন্ধে রন্ধে ঢুকে পড়েছে  পচনশীলতা  

সমাজ দুর্গন্ধময় অসাঢ় বিবেক মনুষত্বহীন বর্বরতা

প্রাণ নেওয়া খেলায় চারিদকে আগুনের লেলিহান শিখা 

ধর মার করে করে চলছে হায়নারের ভয়াক্ত থাবা

শকুনের  নখর ছোবলে মানুষ মর্মাহত আশাহত 

প্রাণবন্ত দুর্বিষহ জীবনে কবিতার ছন্দ পতন অবিরত 


চুর্ন বিছিন্ন ভাঙ্গা অন্তরে নেই আশা নেই ভরসা

অমানবতা হেরে যাচ্ছে জীবনের প্রেম ভালবাসা 

মনুষত্বের মাপকাঠি  মিথ্যা আশায় মন ভুলানো ছেঁদো কথা 

চারিদিকে ক্ষমতা টাকা সমাজ, বিলাসের প্রতিযোগিতা 

মানুষ ধৈর্য  বিশ্বাস  হারিয়ে  ফেলছে  আঁধারের অতলে

হতে চাইনা কবি - লিখবো না  আর কবিতা স্ববলে সমূলে

 


তালাশ 


চাঁদ সুর্য গ্রহ তাঁরা আপন আপণ পথে

অদৃশ্য শক্তির সুতায় বাঁধা ছিটকে নাহি পড়ে 

অন্তহীন মহাশূন্যে কোথা হতে শুরু কোথা হতে শেষ 

ভাবলে মনে জিগ্যাসা জাগে কোথায় ঈশ্বর বিশেষ 


এমন মজার বিশ্ব ভুবন কে করিয়াছে সৃজন 

তাহার তালাশে হৃদয় মন - কোথায় সে জন 

তোমার অন্বেষণে এ-ই চিত্ত হয়ে থাকে রিক্ত

অনন্ত প্রত্যাশায় কবির কল্পনা অভিষিক্ত 


অসীমের অন্তরালে ছড়াই  সুতীক্ষ্ণ চিন্তার পরিসর 

পরকালের  খুঁজে ভাব ঘন মন আমার যাযবর 

বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তলিয়ে খুঁজি মহাকালের অতল গর্ভে 

খুঁজে খুঁজে ফিরি বারেবারে চেতনার গভীরে 

অজানায় দাড়িয়ে  , বিচ্ছেদ সাগরে । 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads